ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বে রমজান মাসে কয়েকটি নিদর্শন প্রকাশিত হবে। তার মধ্যে রমজান মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুক্রবার রাতে আকাশে বিকট শব্দে আওয়াজ হওয়া একটি নিদর্শন। আর এই নিদর্শনটি মানব জাতির জন্য একটি দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ ও বিপদ আপদের নিদর্শন। তাই প্রতিটি সচেতন মুসলমানের জন্য সামনের রমজান মাস গুলোতে আমাদের খুবই সচেতন থাকতে হবে। অন্যথায়, আমাদের গাফিলতির জন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সতর্কবাণী সত্যেও আমরা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১, জুলফি বিশিষ্ট একটি তারকা(আগ্নি শিখা) উদিত হবে।
-------------------------------------------------------------------------------
**হযরত ওলীদ (রহঃ) কা’ব (রহঃ) হতে বর্ননা করেন,তিনি বলেন, হযরত মাহদি (আঃ) এর আগমনের পূর্বে পূর্বাকাশে জুলফি বিশিষ্ট একটি তাঁরকা উদিত হবে।
[আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৪২]
** হযরত কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এমন একটি তারকা উদিত হবে,যার আলো হবে চন্দ্রের আলোর ন্যায়।এরপর উক্ত তারকা সাপের ন্যায় কুন্ডুলি পাকাতে থাকবে।যার কারনে তার উভয় মাথা একটা আরেকটার সাথে মিলিত হওয়ার উপক্রম হবে। দীর্ঘকার রাত্রে দুইবার ভুমিকম্প হওয়া এবং আসমান থেকে জমিনের দিকে যে তারকাটি নিক্ষিপ্ত হবে,তার সাথে থাকবে বিকট আওয়াজ।এক পর্যায়ে সেটা পূর্বাকাশে গিয়ে পতিত হবে। যা দ্বারা মানুষ বিভিন্ন ধরনের বালা-মুসিবতের সম্মুখিন হবে। (হাদিস বড় হওয়ায় কেবল শেষ অংশ উল্লেখ করা হল)
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৪৩ ]
**আবু জাফর ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আলী (রহঃ) বলেন, "যখন পূর্বাকাশে ৩ দিন থেকে ৭ দিন পর্যন্ত আগুনের অগ্নিশিখা দেখতে পাবে, তখন আহলে মুহাম্মদ (সাঃ) এর (ইমাম মাহদীর) জন্য অপেক্ষা কর। একপর্যায়ে আল্লাহ তায়ালা (হযরত জিব্রাইল আঃ এর মাধ্যমে) মাহদী আঃ এর নাম ঘোষণা করবেন। যা পৃথিবীর সকল মানুষ শুনতে পাবে।
(আল মুত্তাকী আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামত আল মাহদী, পৃষ্ঠা নং - ৩২)
** " একটি বিরাট অগ্নি গোলক পূর্ব দিক থেকে উদিত হবে, যা ৩ দিন অথবা, ৭ দিন সারিবদ্ধভাবে দৃশ্যমান হবে। (বিস্ফোরণের) পর প্রচন্ড অন্ধকারে আকাশ ঢেকে যাবে। এটি (বিস্ফোরণের) পর নতুন ধরনের লালচে রঙের শিখা আকাশে দৃশ্যমান হবে, যা উষার আলোর মত দেখাবে না। এরপর এমন ভাষায় (হযরত জিব্রাইল আঃ এর) একটি ঘোষণা শোনা যাবে, যা পৃথিবীর সকল মানুষ বুঝতে পারবে।
( বারজানী, আল ইসায়া, পৃষ্ঠা - ১১৬)
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস প্রদেশের গ্রেন্ড রেপিট মিশিগানের Calvin College এর একদল গবেষক ও খ্যাতিমান জ্যোতির্বিজ্ঞানী প্রসেসর লরেন্স মুলনার বলেছেন, ২০২২ সালে এই প্রথম মানুষ খালি চোখে দুটি তারকার সংঘর্ষ দেখতে পাবে। তবে দুটি তারকার সংঘর্ষের পূর্বে পরস্পরের দিকে কয়েক দিন ঘুরতে থাকবে, এবং এদের আলো চাঁদের আলোর মত উজ্জ্বল হবে। এদের পরস্পরের সংঘর্ষের পর লাল রঙের আভা আকাশে ছড়িয়ে পরবে। যা American Astonomical Society (AAS) এর ২২৯ তম বৈঠকে এই গবেষণার বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে তারা Binary system বা, একই কক্ষপথে চলা এই দুটি তারকার উপর নজরদারি করে আসছিল এবং তারা তারকা দুটিকে KIC9832227 নামে চিহ্নিত করেছেন। বিস্তারিত জানতে অবশ্যই এই ভিডিও গুলো দেখুনঃ
https://youtu.be/OVUqEoqAsRE
https://youtu.be/IjLFm9AM-jw
https://youtu.be/-731nzyq4S4 (বাংলা ভাষায়)
https://youtu.be/xkO92LO8F3E
https://youtu.be/aq0NMA_wUxc
ইতোমধ্যেই ইহুদী বলতে শুরু করেছেন, এই তারকাটি "মাসিহ "এর আগমনের একটি চিহ্ন এবং বলতে শুরু করেছেন ২০২২ সালে মাসিহ এর আবির্ভাব হবে। কারন Old testament নাকি এই তারকাটি নিয়ে অনেক ভবিষ্যৎবাণী রয়েছে। এমনকি খ্রিস্টানরা ও বিশ্বাস করেন, এই তারকাটি যিশুর (হযরত ঈসা আঃ) এর পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসার একটি নিদর্শন। যেমনঃ
"I will display wonders in the sky and on the earth, Blood, fire and columns of smoke.
(Joel : part - 02 verses - 30)
'AND I WILL GRANT WONDERS IN THE SKY ABOVE AND SIGNS ON THE EARTH BELOW, BLOOD, AND FIRE, AND VAPOR OF SMOKE.
(Acts : part - 02, verses 19)
এই তারকা (অগ্নি শিখা) কখন বিস্ফোরণ হবে?
-------------------------------------------------------------------
** হযরত ফিরোজ দায়লামি (রাঃ) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “কোন এক রমজানে আওয়াজ আসবে।”সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল! রমজানের শুরুতে? নাকি মাঝামাঝি সময়ে? নাকি শেষ দিকে?” রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, “না, বরং রমজানের মাঝামাঝি সময়ে। ঠিক মধ্য রমজানের রাতে। শুক্রবার রাতে আকাশ থেকে একটি শব্দ আসবে। সেই শব্দের প্রচণ্ডতায় সত্তর হাজার মানুষ সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলবে আর ৭০ হাজার বধির হয়ে যাবে।”
সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল! আপনার উম্মতের কারা সেদিন নিরাপদ থাকবে?”
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, “যারা নিজ নিজ ঘরে অবস্থানরত থাকবে, সিজদায় লুটিয়ে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং উচ্চ শব্দে আল্লাহু আকবর বলবে। পরে আরও একটি শব্দ আসবে। প্রথম শব্দটি হবে জিব্রাইল (আঃ) এর, দ্বিতীয়টি হবে শয়তানের। ঘটনার পরম্পরা এরূপঃ (Red nova বিস্ফোরণের) শব্দ আসবে রমজানে। ঘোরতর যুদ্ধ সংঘটিত হবে শাওয়ালে। আরবের গোত্রগুলো বিদ্রোহ করবে জুলকা’দা মাসে। হাজী লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটবে জিলজ্জ মাসে। আর মুহাররমের শুরুটা আমার উম্মতের জন্য বিপদ। শেষটা মুক্তি। সেদিন মুসলমান যে বাহনে চড়ে মুক্তি লাভ করবে, সেটি তার কাছে এক লাখ মূল্যের বিনোদন সামগ্রীতে পরিপূর্ণ ঘরের চেয়েও বেশি উত্তম বলে বিবেচিত হবে।”
(মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, খণ্ড ৭, পৃষ্ঠা ৩১০)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হাদিস ও বিজ্ঞানীদের গবেষণা এবং Red nova star এর বিস্ফোরণ অনুযায়ী ২০২২ সালের ১৬ই এপ্রিল বা, ১৪ ই রমজান শুক্রবার ভোর রাতে, ঠিক ফজরের ওয়াক্তে এই বিস্ফোরণটি হবে (সৌদি আরবের সময় অনুযায়ী) আর বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী মধ্যরাতে। তাই সামনের দিনগুলোতে বিশেষ করে রোজার মাসে অবশ্যই প্রতিটি মুসলমানের এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
(তবে সুনির্দিষ্ট সময় কেবল আল্লাহ ভালো জানেন)
আমি কেবল বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও হাদীসের তথ্য অনুযায়ী সময় বের করেছি। এটা ভূলও হতে পারে আবার সঠিকও হতে পারে।
এই তারকা (অগ্নি শিখা) দেখা দিলে আমাদের কি করতে হবে?
-------------------------------------------------------------------------------
" আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, একটি অগ্নি গোলা/অগ্নি শিখা তোমাদেরকে ঘিরে ফেলবে।
এই আগুন বর্তমানে বেরেহাট উপত্যকায় সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। এই আগুন লোকদেরকে ঘিরে ফেলবে, মানুষ ও সম্পদ সমূহকে পুড়িয়ে ফেলবে। পৃথিবীর সর্বত্র এটা মেঘের মতো ঘুরে বেড়াবে। এই আগুনের তাপমাত্রা দিনের বেলা থেকে রাতের বেলা বেশি হবে। ইহা পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে, মানুষের মাথার উপর অবস্থান করতে থাকবে। এই আগুন ভয়ংকর শব্দ সৃষ্টি করতে থাকবে, যেমন আকাশ ও স্থলভাগের মধ্যে বজ্রপাত হয় "।
( গ্রন্থঃ মুখতাসার তাজকিরাহ, লেখকঃ ইমাম কুরতুবী রহঃ, পৃষ্ঠা - ৪৬১)
** হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন, যখন রমযান মাসে (Red nova star বিস্ফোরণের) বিকট আওয়াজ প্রকাশিত হবে,শাওয়াল মাসে যুদ্ধের ঝংকার শুনবে, জিলকদ মাসে বিভিন্ন গোত্রের মাঝে মতপার্থক্য দেখা দিবে, জিলহজ্ব মাসে রক্তপাত হবে। মুহাররম মাসে, মুহাররম কি? সে মাসে বিভিন্ন ধরনের মারামারি, হানাহানি, ঝগড়া-ফাসাদ চলতে থাকবে। একথাটি তিনি তিনবার বলেছেন। তিনি বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! জায়হাহ্ কি? জবাবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, এটা অর্ধ রমাযান মাসের জুমার রাত্রে প্রকাশ পাবে। যার কারণে ঘুমন্ত ব্যক্তিরা জাগ্রত হয়ে যাবে, দাড়ানো অবস্থায় থাকা লোকজন বসে যাবে, কুমারী নারীগন ভয়-আতঙ্কে পর্দার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে। এটা হবে এক জুমার রাত্রিতে, এমন এক বৎসর যখন অধিকহারে ভুমিকম্প হবে। সুতরাং তোমরা জুমার দিন নামায আদায় করার সাথে সাথে ঘরে প্রবেশ করে দরজা-জানালা লাগিয়ে দিবে। নিজেদেরকে চাদরাবৃত করলেও কানকে সজাগ রাখবে। যখনই বিকট কোনো আওয়াজ শুনতে পাবে তখনই আল্লাহ্র দরবারে সেজদাবনত হয়ে যাবে এবং সুবহানাল কুদ্দুছ, সুবহানাল কুদ্দুছ বলতে থাকবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৩৮ ]
আমাদের যা করতে হবে? (সংক্ষেপে)
-----------------------------------------------------
A) আল্লাহর কাছে সকল পাপের জন্য তাওবা করতে হবে।
B) শুক্রবার রাতে বিস্ফোরণের পূর্বেই নিজের ঘরে অবস্থান করতে হবে এবং দরজা জানালা সব বন্ধ করে দিতে হবে। কোন ভাবেই বাইরে বা, খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করা যাবে না।
C) বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা মাত্রই জোরে জোরে তাকবির দিতে হবে, সেজদায় গিয়ে সুবহানাল কুদ্দুস সুবহানাল কুদ্দুস পাঠ করতে হবে।
D) এই তারকা (অগ্নি শিখা) নিদর্শন প্রকাশের পর মানব জাতির দুঃখ, দুর্দশা, কষ্ট, দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে।
E) এক বছরের খাদ্য মজুদ করে রাখতে হবে।
F) যত দ্রুত সম্ভব শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যেতে হবে।
Red nova star বিস্ফোরণের পূর্বেই এক বছরের জন্য খাদ্য মজুদ করে রাখতে হবেঃ
--------------------------------------------------------------------------------
** হযরত কাসির ইবনে মুররা আল হাজরনী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রমাযান মাসে আসমানে বিভিন্ন আলামত (Red nova Starবিস্ফোরণ) প্রকাশ পেতে থাকলে মানুষের মাঝে ব্যাপক এখতেলাফ (মতপার্থক্য) দেখা দিবে । তুমি এমন অবস্থা প্রাপ্ত হলে (দেখলে) তোমার সাধ্যানুযায়ী খাবারের মজুদ করে রাখ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৩৪ ]
** হযরত খালেদ ইবনে মা’দান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অতিসত্ত্বর পূর্বদিক থেকে আগুনের তৈরি পিলারের ন্যায় এক নিদর্শন প্রকাশ পাবে। যেটা জমিনের সকলে দেখবে। তোমাদের কেউ এমন যুগ প্রাপ্ত হলে, সে যেন তার পরিবারের জন্য এক বৎসরের খোরাকী (খাদ্য) প্রস্তুত রাখে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৩৩ ]
কেন আমাদেরকে ১ বছরের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করে রাখতে হবে?
---------------------------------------------------------------------------------
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও তার সাহাবীরা কেন পূর্বাকাশে উজ্জ্বল তারকা দেখলে আমাদেরকে এক বছরের জন্য খাদ্য মজুদ করে রাখতে বলেছেন, তা একটু বৈজ্ঞানিক ভাবে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।
১, Red nova star বিস্ফোরণের পর মেঘের মতো যে লাল আভা আকাশে ছড়িয়ে পরবে, সেগুলো মূলত তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। কারন, KIC9832227 দুটি তারকা তে অগ্নি পরিবাহী উপাদান রয়েছে। আর এগুলো তাপমাত্রা বৃদ্ধির আরো একটি কারন হল, এসব ছড়িয়ে পরা উপাদান গুলোতে আবার সূর্যের তাপ পরবে। সহজ ভাষায় বললে, মনে করেন এখন স্বাভাবিক তাপমাত্রা হল ৩৫°ডিগ্রি থেকে 45°ডিগ্রি। কিন্তু Red nova বিস্ফোরণের পর তাপমাত্রা হবে ৭০° ডিগ্রি থেকে ৮০°ডিগ্রি।
আর তাপমাত্রা যখন ৭০° ডিগ্রি থেকে ৮০° ডিগ্রি হবে, স্বাভাবিক ভাবেই মাঠের সকল ফসল ফলাদি জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। নদ নদী, খাল বিল, পুকুরের পানি শুকিয়ে যাবে। এমনকি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ও নিচে নেমে যাবে। গবাদি পশু গরু, ছাগল, ভেড়া, গাদা, হাস, মুরগি সব মরে যাবে। এমনকি পোকা মাকর, অন্যান্য বন্য প্রাণী গুলো ও মরে যাবে।
২, গাছ পালা, শাক সবজি এগুলো মূলত সূর্যের তাপ, আলো, পানি ও কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহনের মাধ্যমে বেড়ে উঠে এবং ফুল, ফল-মূল ও অক্সিজেন দেয়। কিন্তু যখন ৪০ দিন সূর্যের আলো পৃথিবীতে পরবে না, তখন স্বাভাবিক ভাবেই মাঠের ফসল ফলাদি ও শাক সবজি গুলো নষ্ট হয়ে যাবে এবং অত্যধিক তাপমাত্রার কারনে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
৩, যখন তাপমাত্রা ৭০° ডিগ্রি থেকে ৮০° ডিগ্রি হয়ে যাবে, তখন খুব দ্রুতই এন্টার্কটিকা, গ্রীনল্যান্ড, সাইবেরিয়া অঞ্চল ও হিমালয় পর্বতের বরফ গলতে থাকবে। যার কারণে সমুদ্র পৃষ্ঠের পানির স্তর কয়েক মিটার বেড়ে যাবে। যার ফলে পৃথিবীর নিচু এলাকা গুলো যেমন বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চল, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপ সমূহ, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইরাকের বসরা কুফা নগরী, কুয়েত সহ অন্যান্য এলাকা পানির নিচে চলে যাবে। আর হাদীসে ও আছে ইরাকের বসরা ও কুয়েত অঞ্চল সমূহ পানিতে ডুবে যাবে।
হাদিসে বর্ণিত আছে, "ইমাম মাহদীর আবির্ভাব পূর্বে এক তৃতীয়াংশ মানুষ মারা যাবে যুদ্ধ, বিগ্রহ, তরবারি ও রক্তপাতের কারনে। আর এক তৃতীয়াংশ মারা যাবে ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষ ও মহামারীর কারনে"।
সামনের দিনগুলোতে যে আমাদের জন্য বিপদের পর বিপদ অপেক্ষা করছে, সেটা কেবল আখিরুজ্জামান নিয়ে পড়াশোনা করলে বুঝা যায়। তাই সময় থাকতেই আল্লাহর দিকে ফিরে আসুন নয়ত লাঞ্ছনা, অপমান, দুর্ভিক্ষ, ক্ষুধার তীব্র যন্ত্রনা আর ধুকে ধুকে মরার জন্য অপেক্ষা করুন।
Social Plugin