গত ১০০ বছর ধরে ফিলিস্তিনের ভাইয়েরা অভিশপ্ত ইহুদীদের হাতে মার খেয়েই যাচ্ছে। বিশেষ করে, ১৯৬৭ সালের পর থেকে প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত, অপমানিত, উচ্ছেদ, হত্যা, দেশান্তর হয়েই যাচ্ছে। এখান প্রশ্ন হল, মুসলমানরা আর কত দিন অভিশপ্ত ইহুদীদের হাতে মার খাবে? আর কতদিন ফিলিস্তিনের ভাইদের রক্ত দিতে হবে? কবে আসবে মুসলমানদের সুদিন? উত্তর হল, ইনশাল্লাহ খুব শীঘ্রই মুসলমানদের সুদিন ফিরে আসছে। খুব শীঘ্রই ইহুদীদের অত্যাচার, লাঞ্ছনা, উচ্ছেদ, হত্যা, গনহত্যা, ধর্ষণ, ও দেশান্তর থেকে মুক্তি পাবে। মুসলমানরা খুব শীঘ্রই জেরুজালেমকে খেলাফতের রাজধানী করবে।
"মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে জঘন্য দুশমন হল ইহুদী ও মুশরিকরা (মূর্তি পূজারী)"(সূরা মায়েদা, আয়াত নং - ৮২)
♣️ Greater Israel এর সিমানা কতটুকু?
-----------------------------------------------------------
বর্তমান সময়ে যারা Eschatology বা, আখিরুজ্জামান নিয়ে পড়াশোনা করেন তাদের কারো কারো ধারণা পৃথিবীর ভবিষ্যত সুপার পাওয়ার রাষ্ট্র হবে ঈসরাইল এবং ইহুদীরা খুব শীঘ্রই তাদের Greater Israel প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে এবং একই সাথে তারা পুরো পৃথিবীর নেতৃত্ব দিবে। সাধারণত Greater Israel বা, বৃহত্তর ঈসরাইল বলতে সম্পূর্ণ ফিলিস্তিন, পশ্চিম দিকে মিশরের সিনাই উপত্যকা ও আলেকজেন্দরিয়া, পূর্ব দিকে ইরাকের ফোরাত নদীর উপকূল রামাদি, ফাল্লুজা, নাসিরিয়া, কুফা ও কুয়েত পর্যন্ত।
উত্তর দিকে সমগ্র সিরিয়া ও তুরস্কের আন্তকিয়া প্রদেশ পর্যন্ত। দক্ষিণ দিকে জর্ডান ও সৌদি আরবের উত্তরাংশকে বুঝানো হয়ে থাকে। বিশেষ করে শাইখ ইমরান নজর হোসেন ও তার অনুসারীরা এই ধারনাটি ফলাও করে প্রচার করার পর, এটি আরো জোরালো হয়।
যদিও পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা তাদের ধারণার উল্টো বলেছেন,
"এটি কখনো সম্ভব নয়, 'যে জাতিকে আমি একবার ধ্বংস করে দিয়েছি, তারা আবার (ধ্বংস পূর্ব অবস্থায় ফিরে) আসবে"।
(সূরা আম্বিয়া, আয়াত নং - ৯৫)
এই আয়াত থেকে প্রমাণিত হয়, ইহুদীরা কখনো Greater Israel বা, ইহুদীদের কল্পিত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। ভবিষ্যতে ঈসরাইল কোন ভাবেই সুপার পাওয়ার হবে না, এটা একেবারেই নিশ্চিত করে বলা যায়।
♣️ অবৈধ রাষ্ট্র ঈসরাইল কিভাবে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল?
-------------------------------------------------------------------
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের উসমানীয় খিলাফত পতনের পর ফিলিস্তিনসহ বেশিরভাগ আরব এলাকা ইংল্যান্ড- ফ্রান্সের দখলে চলে যায়। ১৯১৭ সালের ২রা নভেম্বর বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বালফোর ইহুদীবাদীদেরকে লেখা এক চিঠিতে ফিলিস্তিনের ভূখন্ডে একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন, যা ইতিহাসে বেলফোর ডিকলারেশন নামে পরিচিত। বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিন এলাকায় ইহুদিদের আলাদা রাষ্ট্রের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয় এবং বিপুলসংখ্যক ইহুদি ইউরোপ থেকে ফিলিস্তিনে এসে বসতি স্থাপন করতে থাকে।
১৯০৫ থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েক হাজার। কিন্তু ১৯১৪ সাল থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত বৃটিশদের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা ১৫ হাজারে উন্নীত হয়। এরপর প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনে ইহুদী অভিবাসীদের ধরে এনে জড়ো করা শুরু হলে ১৯১৯ থেকে ১৯২৩ সাল নাগাদ ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা ৩৫ হাজারে পৌঁছে যায়।
১৯৩১ সালে ইহুদীদের এই সংখ্যা প্রায় ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৮০ হাজারে পৌঁছায়। এভাবে ফিলিস্তিনে ইহুদী অভিবাসীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে থাকে এবং ১৯৪৮ সালে সেখানে ইহুদীদের সংখ্যা ৬ লাখে উন্নীত হয়।বৃটিশরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিস্তিন ছেড়ে যাওয়ার সময় ঈসরাইল নামে একটি রাষ্ট্রের ঘোষণা দিয়ে যায়, যা শুরু থেকেই আরবরাষ্ট্র গুলো বিরোধিতা করতে থাকে। যা পরবর্তীতে ইহুদী ও আরব মুসলিমদের যুদ্ধে পর্যন্ত জড়ায় । এপর্যন্ত সর্বমোট আরবদের সাথে ইহুদীদের চারটি যুদ্ধ হয়েছে।
১, ১৯৪৮ আরব ঈসরাইল যুদ্ধ। এই যুদ্ধে ব্রিটিশ ও ফ্রান্সের প্রত্যক্ষ মদদে ইউরোপ থেকে ইহুদীদের কে ফিলিস্তিনে জড়ো করে। এবং ৯ মাস যুদ্ধের পর ইহুদীরা ফিলিস্তিনের ৫০% এলাকা দখল করতে সক্ষম হয় এই যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে সমাপ্তি হয়।
২, ১৯৫৬ সালে দ্বিতীয় আরব ঈসরাইল যুদ্ধ। যুদ্ধ বিরতি শেষ হওয়ার পর পুনরায় যুদ্ধ শুরু হয়।
৩, ১৯৬৭ সালে তৃতীয় আরব ঈসরাইল যুদ্ধ। এই যুদ্ধে ঈসরাইল আনুষ্ঠানিক ভাবে যুদ্ধ শুরুর আগেই মিশর, সিরিয়া, জর্ডানের এয়ারপোর্ট আক্রমণ করে সিনাই উপত্যকা, জেরুজালেম, গোলান পর্বত মালা দখল করে নেয়। এই যুদ্ধ মাত্র ৬ দিন চলে। এই যুদ্ধে আরব রাষ্ট্র গুলো মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৪, ১৯৭৩ সালে চতুর্থ আরব-ঈসরাইল যুদ্ধ, এই যুদ্ধে মিশর ও সিরিয়া ঈসরাইলের বিরুদ্ধে মারাত্মক ভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যায়। পরবর্তীতে জর্ডান, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, ইরাক, কিউবা যুদ্ধে যোগ দেয়। কিন্তু ঈসরাইল মারাত্মক ভাবে ক্ষতির মুখে পরে একপর্যায়ে পরমাণু বোমা হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়, এবং এই সিদ্ধান্ত তারা আমরিকাকে জানায়। পরবর্তীতে আমরিকার মধ্যস্থতায় যুদ্ধের সমাপ্তি হয়। একপর্যায়ে ঈসরাইল সিনাই উপত্যকা মিশরকে ফেরত দেয়।
এছাড়াও লেবাননের হিজবুল্লাহর সাথে ২০০৬ সালে এবং গাজা উপত্যকার হামাসের সাথে ২০১৪ সালে ঈসরাইল যুদ্ধে জড়িয়ে ছিল।
♣️ইসরাইল ও ইহুদীদের ধ্বংসের ব্যাপারে পবিত্র কুরআনের ভবিষ্যৎবাণীঃ
-------------------------------------------------------------------
"আমি বনি ঈসরাইলকে কিতাবে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলাম তোমরা পৃথিবীতে দুই বার অবশ্যই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে এবং ঔদ্ধত্য দেখাবে মারাত্মক ভাবে"।
(সূরা বনি ঈসরাইল, আয়াত নং-৪)
⚫অত্যন্ত আশ্চর্যের ব্যাপার হল, কোরআনের এই আয়াত নাজিল হওয়ার পূর্বে ইহুদীরা পৃথিবীতে দুইবার অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব ৫৮৭ সাল ও খ্রিস্টাব্দ ৭০ সালের পূর্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল । আর এই আয়াত নাজিল হওয়ার পরেও তারা দুইবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে।
প্রথমবার ইউরোপিয়ান ইহুদীরা (১৯৪৮-২০২৩ সাল ইনশাল্লাহ) পর্যন্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এবং দ্বিতীয় বার দাজ্জালের আবির্ভাবের সময়ে ইরানের ইস্ফাহান শহরের ৭০ হাজার ইহুদী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, যেখানে ২০১৬ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের সংখ্যা ২৫০০০ হয়ে গেছে ।
লিংকঃ https://en.m.wikipedia.org/wiki/Persian_Jews
ইতিপূর্বে পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার কারনে, আল্লাহ তায়ালা ইহুদীদের কিভাবে ধ্বংস করেছিলেন সেই বর্ননাও পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করেছেন।
" অতঃপর যখন(বনি ঈসরাইলকে ধ্বংসের) প্রতিশ্রুত সেই প্রথম সময়টি এলো (খ্রিস্টপূর্ব ৫৮৭ সালে) তখন আমি তোমাদের (বনি ঈসরাইলের) বিরুদ্ধে প্রেরণ করলাম আমার কঠোর যোদ্ধা বান্দাদেরকে (বখতে নাসরের নেতৃত্বে ব্যাবিলনীয় বাহিনী) অতঃপর তারা প্রতিটি জনপদের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে পড়ল, এ ওয়াদা পূর্ণ হওয়ারই ছিল।
অতঃপর আমি তোমাদের জন্যে তাদের বিরুদ্ধে পালা ঘুরিয়ে দিলাম, তোমাদেরকে ধনসম্পদ ও পুত্রসন্তান দ্বারা সাহায্য করলাম এবং তোমাদেরকে জনসংখ্যার দিক দিয়ে একটা বিরাট বাহিনীতে পরিণত করলাম। তোমরা যদি ভালো কর, তবে নিজেদেরই ভালো করবে আর যদি মন্দ কর, তা-ও নিজেদের জন্যেই।
এরপর যখন (অবিচার অনাচারের) দ্বিতীয় সে সময়টি এলো (৭০ খ্রিস্টাব্দে) তখন অন্য বান্দাদেরকে প্রেরণ করলাম (সেনাপতি টাইটাসের নেতৃত্বে রোমান বাহিনী) , যাতে তোমাদের মুখমন্ডল বিকৃত করে দেয় আর (সুলাইমান আঃ নির্মিত) মসজিদে ঢুকে পড়ে যেমন প্রথমবার (তাদের পূর্বসূরিরা) ঢুকেছিল, এবং যেখানেই ঢুকে, সেখানেই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল "।
(সুরা বনী ইসরাইল, আয়াত নং ৫-৭)
⚫ দ্বিতীয়বার ধ্বংস হওয়ার পর অর্থাৎ ৭০ খ্রিস্টাব্দে বনী ইসরাইলের উপর জেরুজালেম শহর তাদের জন্য হারাম হয়ে যায় এবং তারা পুরো বিশ্বে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
"আর আমি তাদেরকে (ইহুদিদেরকে) বিভক্ত করে দিয়েছি বিভিন্ন দেশময় বিভিন্ন শ্রেণীতে "।
(সূরা আ'রাফ, আয়াত নং - ১৬৮)
" এরপর আমি বনি ঈসরাইলকে বললাম, তোমরা (এবার) বসবাস করতে থাক। যখন আখিরাতের প্রতিশ্রুতির সময় আসবে, তখন তোমাদের একত্রিত করে নিয়ে আসব"।
(সূরা বনি ঈসরাইল, আয়াত নং - ১০৪)
" আশা করা যায়, (তোমরা যদি আল্লাহকে মেনে চল তাহলে) তোমাদের রব তোমাদের উপর রহম করবেন। কিন্তু তোমরা (ইহুদীরা) যদি পুনরায় (বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি) কর। আমিও আবার (তোমাদেরকে ধ্বংস) করব। আর আমি কাফেরদের জন্য জাহান্নামকে করেছি কয়েদখানা।
(সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত নং - ৮)
⚫এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা ইহুদীদেরকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইহুদীরা যদি পুনরায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে আগের মত আবার ধ্বংস করবেন। যেরকম ভাবে আগে দুইবার ধ্বংস করেছিলেন।যেমনটি খ্রিস্টপূর্ব ৫৮৭ সালে এবং খ্রিস্টাব্দ ৭০ সালে ধ্বংস করেছিলেন।
"অবশ্যই আল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত ইহুদীদের উপর এমন লোক পাঠাতে থাকবেন, যারা তাদেরকে (ইহুদীদের) নিকৃষ্ট শাস্তি প্রদান করতে থাকবে"।
(সূরা আরাফ, আয়াত নং- ১৬৭)
⚫সুবহানাল্লাহ!! আল্লাহ কতইনা সত্য কথা বলেছেন? মদিনাতে চুক্তি ভঙ্গ ও বিশ্বাসঘাতকতার কারনে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বনু কুরাইজার সব পুরুষ ইহুদীদের হত্যা করেছিলেন এবং নারী ও শিশুদের দাসী হিসেবে সাহাবীদের মধ্যে বন্টন করেছিলেন। হযরত উমর (রাঃ) ইহুদীদেরকে আরব উপদ্বীপ থেকে বের করে দিয়েছিলেন। এমনকি গত শতাব্দীতে জার্মানি ও অস্ট্রিয়াতে ইহুদীরা যখন মারাত্মক উৎপাত শুরু করে দিয়েছিল, ঠিক তখনই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে চরমভাবে শায়েস্তা করেছিলেন। কথিত আছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, হিটলার ৬০ লক্ষ ইহুদীকে হত্যা করেছিলেন।
এছাড়াও বর্তমানে যেহেতু তাদের উৎপাত আবার বেড়ে গেছে, মুসলমানদের উপর তাদের অত্যাচার, অবিচার, জুলুম নির্যাতন বেড়ে গেছে, খুব শীঘ্রই আল্লাহ তায়ালা আবার সুফিয়ানী ও খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের মাধ্যমে তাদেরকে শায়েস্তা করবেন।
♣️ বর্তমান ঈসরাইল রাষ্ট্র কিভাবে ধ্বংস হবে?
-------------------------------------------------------------------
ঈসরাইলের সাথে মুসলিমদের যুদ্ধ চলতেই থাকবে, এরকম বর্ননা হাদিসে পাওয়া যায়।আশ্চর্যের ব্যাপার হল, ঈসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য তারা আরব রাষ্ট্র সমূহের সাথে ৪/৫বার যুদ্ধ করে। ১৯৪৮, ১৯৫৬, ১৯৬৭,১৯৭৩ এবং লেবাননের সাথে ২০০৬ সালে ও হামাসের সাথে ২০১৪ সালে। ঠিক তেমনি ঈসরাইল ধ্বংসও হবে আরো ৪/৫ টি পর্যায়ে। তবে মুসলমান জাতির জন্য সুসংবাদ হল সেটা হবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে। এমনকি ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের ৫/৬ বছর পূর্বেই হবে।
⚫১, সিরিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ঈসরাইল ও আরব রাষ্ট্রগুলো চাচ্ছে রাশিয়া ও ইরানের সমর্থিত বাশার আল আসাদ সরকারের পতন হোক। আমরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স বাশার আল আসাদের পতন চাচ্ছে, সিরিয়াতে রাশিয়া ও ইরানের প্রভাব ধ্বংস করার জন্য এবং সিরিয়াকে তাদের প্রভাব বলয়ের মধ্যে আনার জন্য।
আরব রাষ্ট্রগুলো বাশার আল আসাদের পতন চাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইরান ও শিয়াদের একক প্রভাব ধ্বংস করার জন্য। আর ঈসরাইল বাশার আল আসাদের পতন চাচ্ছে, ঈসরাইলের নিজস্ব নিরাপত্তার স্বার্থে, কারন বাশার আল আসাদের পিতা হাফিজ আল আসাদের সাথে ১৯৭৩ সালে তাদের যুদ্ধ হয়েছিল, আর বাশার আল আসাদের সাথেও ঈসরাইলের বিরোধ রয়েছে। তাই তারা সবাই সিরিয়া যুদ্ধে বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে সুন্নি বিদ্রোহী FSA - Free Syrian Army কে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে।
কিন্তু ২০১৮ সালের প্রথম দিকে বিদ্রোহীরা আল গুতা, হোমস, আলেপ্পো, হামায় বাশার আল আসাদের কাছে পরাজিত হওয়ার কারণে, ঈসরাইলের প্রকাশ্য ভাবে বাশার আল আসাদের প্রধান সহযোগী সিরিয়াতে অবস্থিত ইরানের সামরিক বাহিনীর উপর বিমান ও মিসাইল হামলা শুরু করে। কারন ঈসরাইলের জন্য উদ্বেগের বিষয় হলো সিরিয়াতে বর্তমানে ইরানের ৮০,০০০ সৈন্যবাহিনী রয়েছে। তখন ইরান পাল্টা ঈসরাইলে ৩০ টি মিসাইল নিক্ষেপ করে এর জবাব দেয়।
Fox News এর লিংকঃ https://youtu.be/lC_PmBQCTj4
ভবিষ্যতে হয়েছে এর সুত্র ধরে ইরান ও ঈসরাইলের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের সম্ভাবনা রয়েছে। কারন ঈসরাইল ইরানের সাথে যুদ্ধ করতে মারিয়া হয়ে আছে। গত মে ২০১৮ সালে আমরিকার গোয়েন্দা সংস্থা CIA-সূত্রে এরকম তথ্যই পাওয়া গেছে।
দেখুনঃ NBC News link- https://www.nbcnews.com/news/mideast/israel-seems-be-preparing-war-iran-say-u-s-officials-n870051
এছাড়াও রাশিয়ার সামরিক সূত্র থেকে ইতোমধ্যেই বলা হয়েছে, ইরান ও ঈসরাইল যদি সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পরে, তাহলে রাশিয়া তার মিত্র ইরানকে সাহায্য করবে।
দেখুন Times of Israel News লিংকঃ https://www.timesofisrael.com/russian-official-if-iran-attacks-israel-well-stand-with-you/
সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি ইরান ও ঈসরাইলের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ হয়, তাহলে অবশ্যই দুটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামরিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে যাবে, এবং পুরো মধ্যপ্রাচ্যে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পরবে। তবে ঈসরাইল আগের যুদ্ধ গুলোর মত এবার সহজেই পার পেয়ে যাবে না। যার কারণে ঈসরাইলের হাত থেকে জেরুজালেম উদ্ধার করা খুব সহজ হবে। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটিই হতে পারে বলে মনে হচ্ছে।
⚫২,হলুদ পতাকাবাহী বর্বর আবকা জাতির (Tuareg Militant) ফিলিস্তিনে আসবে?
সর্বপ্রথম ফিলিস্তিনে আসবে হলুদ পতাকাবাহী বর্বর আবকা জাতি বা আফ্রিকার তাওয়ারেগ জাতি। তারাই ঈসরাইলের দালাল খ্যাত মিশরের সরকারকে পরাজিত করে মিশর দখল করবে এবং তাদের একটি দল ফিলিস্তিনে আসবে।
তবে তারা খুব অল্প সময় সেখানে থাকবে এবং কালো পতাকাবাহী দল (আসহাব জাতি Islamic state) কে ১৮ মাস সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম হোমস শহর অবরোধ করে রাখবে। তারা ঈসরাইলের সাথে যুদ্ধ করবে এরকম সরাসরি বর্ননা পাওয়া যায়নি।
তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ https://plus.google.com/101401526729996672060/posts/4YdhpjB7DeD
** হযরত কা’ব (রহঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, কসম সে সত্ত্বার যার হাতে আমার প্রাণ! অতি স্বত্তর হিমস নগরীতে বর্বর বাহিনী (Tuareg militant) প্রবেশ করবে। তাদের সর্বশেষ দল সেখানের বাসিন্দাদের ঘরের দরজার লক খুকে ফেলবে এবং তাদের একটা অংশ ফিলিস্তিনে অবস্থান নিবে।
অতঃপর তারা হিমস (সিরিয়ার হোমস শহর) থেকে বের হয়ে বুহাইরায়ে ফামিয়া (ফিলিস্তিনের একটি জায়গা) কিংবা তার থেকে এক মাইলের কাছাকাছি এলাকায় চলে যাবে। তখন তাদের দিকে বাহিরের একজন (প্রথম সুফিয়ানী) ধেয়ে আসবে এবং তাদেরকে হত্যা করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৭৫ ]
⚫৩, সুফিয়ানী ফিলিস্তিন বিজয় করবে?
ইমাম মাহদীর শত্রু সুফিয়ানীর হাতে ফিলিস্তিন বিজয় হবে। হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি, সুফিয়ানী হবে উমাইয়া ও বানু কাল্ব গোত্রের লোক।আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদও কিন্তু একই গোত্রের লোক। বাশার আল আসাদ, সহযোগী ইরান ও হিজবুল্লাহ শিয়াদের সাথেও ঈসরাইলের একটা রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে।
এমনকি বাশার আল আসাদের পিতা হাফিজ আল আসাদ ১৯৭৩ সালে আরব-ঈজরাইল যুদ্ধের সময় ঈসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভালো ভূমিকাও রেখেছেন। হয়তো সুফিয়ানীর সাথেও ঈসরাইলের একটা বিরোধ লেগেই থাকবে, যার কারণে সে ফিলিস্তিন দখল করবে।
** হযরত জাফর সাদিক (রহঃ) বলেন, যখন সুফিয়ানী পাঁচটি শহর জয় করবে, তখন তুমি তার রাজত্বের স্থায়ীত্ব ৯ মাস গণনা করবে। হিশাম বলেন, এই পাঁচটি শহর হলঃ দামেস্ক, ফিলিস্তিন, উর্দুন (জর্ডান) , হিমস (হোমস), হালাব (আলেপ্পো)।
[বিহারুল আনোয়ার, খন্ড ৫২, পৃষ্ঠা ২৫২, কিতাবুল গাইবাত, অধ্যায় ১৮, পৃষ্ঠা ৪৪৪ হাদিস নং ১৩, Hims and Halab are two cities in Syria]
** "ফিতনাতুদ দুহাইমার (অন্ধকার অন্ধত্ব পূর্ণ ফিতনা বা, চতুর্থ ফিতনার) তিনটি অংশ রয়েছে। প্রথম ১২ তম বছরে (২০২৩ সালে ইনশাল্লাহ) বাইতুল মোকাদ্দাস (জেরুজালেম) বিজয় হবে। দ্বিতীয় অংশে বা, এই ফিতনার ১৮ তম বছরে ভয়ংকর যুদ্ধ বিগ্রহ হবে। তৃতীয় অংশে বা, এই ফিতনার ২০ তম বছরে দাজ্জালের আবির্ভাব হবে"।
(হাদিসটি মধ্যপ্রাচ্যের বিখ্যাত ইউটিউবার মেসবাহ ইয়াসিনের থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তার ভিডিওটি দেখুন, লিংকঃ https://youtu.be/bmNquxxET7g)
আমরা সবাই জানি যে, চতুর্থ ফিতনা বা, ফিতনাতুদ দুহাইমা ২০১১ সালে সিরিয়া যুদ্ধের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। তাই এই ফিতনার ১২ তম বছরে (২০১১+১২ =২০২৩ সালে ইনশাল্লাহ) বাইতুল মোকাদ্দাস বিজয় হবে।
⚫৪, খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল ফিলিস্তিন দখল করবে?
** হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “যখন কালো পতাকাগুলো পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে বের হবে, তখন কোন শক্তিই তাদেরকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না। এমনকি এই পতাকাকে ইলিয়ায় (বাইতুল মুকাদ্দাসে) উত্তোলন করা হবে (বায়তুল মোকাদ্দাস বিজয় করবে)”।
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ২২৬৯;মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ৮৭৬০)
** হযরত উমর বিন মুররাহ আল জামালী (রাঃ)থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,“নিশ্চই খোরাসান থেকে একদল কালো পতাকাবাহী লোকের আবির্ভাব ঘটবে এবং তাঁদের একদল তাঁদের ঘোড়াগুলো দড়ির সাহায্যে বাইতাল লাহ্যিয়া (ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা) এবং হারাস্তার (সিরিয়া রাজধানী দামেস্কের নিকটবর্তী এলাকা) মধ্যবর্তী স্থানে জাইতুন (জলপাই) গাছের সাথে বাধবে”।
আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, ‘সেখানে কি কোন জাইতুন গাছ আছে’? তিনি বলেন,“যদি সেখানে জাইতুন গাছ নাও থাকে তাহলে শীঘ্রই সেখানে জাইতুন গাছ জন্মাবে এবং খোরাসান থেকে কালো পতাকাবাহী দল বের হয়ে আসবে এবং তারা তাঁদের ঘোড়াগুলো এইসব জাইতুন গাছের সঙ্গে বাঁধবে”।
(আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯০৩)
** হযরত মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়্যাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন বনু আব্বাসের একটি কালো ঝান্ডা বের হবে(৭৫০ - ১২৫৮ সাল পর্যন্ত তারা ক্ষমতায় ছিল)। অতপর খোরাসান থেকে আরেকটি কালো ঝান্ডা বের হবে। তাদের টুপি হবে কালো এবং তাদের পোষাক হবে সাদা। তাদের সম্মুখে একজন লোক থাকবে যাকে শুয়াইব ইবনে সালেহ ডাকা হবে এবং সে হবে তামিম গোত্রের । তারা সুফিয়ানীর সৈন্যদের পরাজিত করবে।
এমনকি তারা বাইতুল মুকাদ্দাসে (ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে) অবস্থান নিবে। তারা মাহদীর রাজত্বের জন্য পথ সহজ ও প্রস্তুত করবে। আর সিরিয়া হতে ৩০০ লোক তার সাথে মিলিত হবে। তার বের হওয়া ও মাহদীর নিকট বিষয় সমর্পণ করার মধ্যে বাহাত্তর মাসের (৬ বছরের) ব্যবধান হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৯৪ ]
** হযরত সুফিয়ান কালবী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন মাহদীর দলে এক কম বয়সী, পাতলা দাড়ি বিশিষ্ট, এবং হলুদ বর্ণের এক তরুন যুবক (শুয়াইব ইবনে সালেহ) বের হবে। আর ’ওয়ালীদ হলুদ বর্ণ’ উল্যেখ করেন নাই। যদি পাহাড়ের সাথে যুদ্ধ করে তাহলে পাহাড়কে কাপিয়ে দিবে। আর ওয়ালীদ বলেন ’ভেঙ্গে ফেলবে’ (যতক্ষণ না বাইতুল মোকাদ্দাসে পৌঁছে)।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯০২ ]
⚫৫,ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের বছর তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় রাশিয়া ফিলিস্তিনে আসবে?
** ইমাম বাকের (রহঃ) থেকে জাবের জুফী বর্ননা করেন, "যখন রোমের বিদ্রোহীরা(রাশিয়ান অর্থডক্স খ্রিস্টানরা) রামাল্লায়(ঈসরাইলের দখলকৃত পশ্চিম তীর) অবতরণ করবে। হে জাবের ! ঐই বছর পাশ্চাত্যের পক্ষ থেকে সমগ্র বিশ্বে প্রচুর দ্বন্দ্ব-সংঘাত(যুদ্ধ বিগ্রহ) সংঘটিত হবে"।
(বিশারাতুল ইসলাম, পৃষ্ঠা নং-১০২, আসরে জুহুরী, পৃষ্ঠা নং-৪৯)
♣️ ঈসরাইলের পতন সম্পর্কে বর্তমান যুগের স্কলার গন কি বলছেন?
-------------------------------------------------------------------
"ইনশাল্লাহ, ঈসরাইল আগামী শতাব্দীতে ধ্বংস হয়ে যাবে, এমনকি আগামী শতাব্দীর এক চতুর্থাংশের মধ্যেই(অর্থাৎ প্রথম ২৫ বছর) এমনকি ২০২৭ সালেই ধ্বংস হয়ে যাবে। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কিভাবে আপনি এত নির্দিষ্ট করে বলছেন, তিনি উত্তর দিয়েছিলেনঃ আমি কোরআনকে বিশ্বাস করি। প্রতিটি জাতির জন্যই একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে, প্রথম ৪০ বছর হল প্রতিষ্ঠার সময়, দ্বিতীয় ৪০ বছর হল নিরাপত্তা ও সুখ্যাতি অর্জনের সময়, শেষ ৪০ বছর হল বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসের সময়"।
(হামাসের প্রতিষ্ঠাতাঃ শাইখ আহমদ ইয়াসিন রহঃ)
শাইখ ইয়াসিন (রহঃ) এর বক্তব্যের ভিডিও লিংকঃ https://youtu.be/mDcukON9IZY
** শাইখ বাসসাম জাররার (হাফিঃ) এর কুরআনের গাণিতিক সংখ্যার গবেষণা করে বলেছেন, ঈসরাইল ২০২২ সালে ধ্বংস হবে (ইনশাল্লাহ)। তার ভিডিওর লিংকঃ https://youtu.be/fzT5vxdLsAA
** মসজিদুল আকসার ইমাম ড. খালেদ আল মাগরেবী (হাফিঃ) ২০১৭ সালে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ঈসরাইল ২০২২ সালে ধ্বংস হয়ে যাবে। ভিডিও লিংকঃ https://youtu.be/Ee23nOHBr8U
** এমনকি ইহুদীদের বিখ্যাত পন্ডিত রাবাই ইউসুফ বারজার পর্যন্ত বলেছেন, ২০২২ সালে আকাশে একটি তারকা উদিত হবে হবে, যা নাকি মাসায়া (মাসীহ) এর আগমনের একটি লক্ষণ। ভিডিও লিংকঃ https://youtu.be/FsLzgPPJgFc এই তারকাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ "সাবধান!! রমজান মাসে আকাশ থেকে বিকট শব্দে আওয়াজ আসবে খুব শীঘ্রই" লিংকঃ https://plus.google.com/101401526729996672060/posts/Jtd7s7ysafT
** যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হেনরি কিসিন্জার একবার বলেছিলেন, No more Israel by 2022, প্রশ্ন হল সে কিভাবে বলেছ? উত্তর হলোঃ সেও কিন্তু খ্রিস্টান ধর্মের একজন অনুসারী, স্বাভাবিক ভাবেই বলা যায়, তাদের ধর্ম গ্রন্থে ও End Time prophecy নিয়ে অনেক ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছে। তাই সে তার ধর্মের ভবিষ্যৎবাণীর আলোকেই হয়তো বলেছে। ভিডিও লিংকঃ https://youtu.be/FWaShJ0Bw7s
** সিরিয়ার সাংবাদিক আল বুজায়রামী ২০১২ সালে একবার ফিলিস্তিনের PA TV (Fatah) এর চ্যানেলকে বলেছিলেন, আমি এখন এমন একটি বিষয় বলতে যাচ্ছি, যা ইতিপূর্বে কেউ শুনে নাই। আমরিকার গোয়েন্দা সংস্থা CIA top secret নথি সাবেক আমরিকান প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকে দিয়েছিল, যা এমন ছিল - "আমি মনে করি না, ঈসরাইল ২০২২ সালের পর অক্ষত থাকতে পারবে"। ভিডিও লিংকঃ https://youtu.be/V08Kwk0LRd0
♣️ ইমাম মাহদী জেরুজালেমকে খিলাফতের রাজধানী করবেন? এখান থেকেই পরিচালিত হবে আগামী দিনের মুসলিম বিশ্ব 🌏:
-------------------------------------------------------------------
** হযরত কা’ব (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন যখন তুমি বাইতুল মুকাদ্দাসে খলীফা (মাহদীকে) দেখবে। এবং উহা ব্যতীত আরেকজনকে দেখবে দামেস্কে। তখন উহা (মাহদী) ব্যতীত অনুসরণ করিও না। কেননা সে(সুফিয়ানী) হবে গাধার বংশধরের থেকেও নিচু জাতের।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১০৫৮ ]
** হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হাওয়ালাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ও হাওয়ালা! যদি তুমি তোমার জীবদ্দশায় দেখতে পাও, খিলাফত বায়তুল মোকাদ্দাসে (জেরুজালেমে) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? তখন ভূমিকম্প, ভূমিধ্বস, বড় বড় দুর্যোগগুলো খুব নিকটবর্তী হবে। কিয়ামত খুব কাছে চলে আসবে।
(মুস্তাদরাকে হাকেম)
** হযরত কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, যখন তুমি বাইতুল মুকাদ্দাসের খলিফাকে (মাহদীকে) দেখবে। আর তাকে ব্যতীত আরেকজনকে (সুফিয়ানীকে) দেখবে তথা দামেস্কে। তখন তুমি তাকে (মাহদীকে) ব্যতীত অন্য কাউকে অনুসরণ করিও না। কেননা সে(সুফিয়ানী) হবে গাধার বংশধরের থেকেও নিকৃষ্ট।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১০১৭ ]
♣️জেরুজালেম বিজয়ের পর ইমাম মাহদী ইহুদীদের সাথে কেমন ব্যবহার করবেন? ইহুদীদের বেশিরভাগই মুসলিম হয়ে যাবে?
-------------------------------------------------------------------
** হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "তাবূত আস সাকীনা (পবিত্র সিন্ধুকটি) আন্তাকিয়ার (তুরস্কের এন্টাকিয়া প্রদেশের) একটি গুহা থেকে এবং তাওরাতের অধ্যায় সমূহ শামের (সিরিয়ার) একটি পাহাড় থেকে বের করে আনা হবে। আর ঐ গ্রন্থের মাধ্যমে ইহুদীদের কাছে যুক্তি ও দলিল - প্রমাণ পেশ করা হবে। আর অবশেষে তাদের মধ্যে অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে "।
(মুন্তাখাবুল আসার, পৃষ্ঠা - ৩০৯, আসরে জুহুরী, পৃষ্ঠা - ৬৯)
** হযরত কা’ব (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন মহদী আলাইহিস সালামের নামকরণ মাহদী করে করার কারণ হচ্ছে যে, সে (ইহুদীদের আসল) তাওরাত কিতাবের পথ দেখাবে এবং ইহুদীদেরকে (আসল) তাওরাত কিতাবের দিকে ডাকবে। সে তাওরাত কিতাবকে সিরিয়ার (তুরস্কের এন্টাকিয়া প্রদেশ থেকে) এক পাহাড় থেকে খুজে বের করবে। অতপর উক্ত কিতাবের উপর(ইহুদীদের) অনেক দল আত্মসমর্পণ করবে। যা তিনি ত্রিশ হাজারের মত উল্লেখ করলেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১০৩৫ ]
⚫উল্লেখ আসল তাওরাত কিতাব ও কুরআনের মধ্যে কোন পরস্পর বিরোধী কিছু থাকবে না। কারন দুটি কিতাবই আল্লাহর কাছ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। যার কারণে ইহুদীরা আস্তে আস্তে হেদায়েতের দিকে আসবে এবং মুসলিম হয়ে যাবে।
** হযরত কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, মাহদী রোমে যুদ্ধের জন্য সৈন্য পাঠাবেন। সেখানে দশজন বুদ্ধিমান জ্ঞানী দিবেন। যারা আন্তাকিয়ার(সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের এন্টাকিয়া প্রদেশের) এক গুহা থেকে তাবূত আস সাকীনা (Ark of the Covenant) খুজে বের করবে। যেটার ভিতর আল্লাহ তা’আলা মুসা (আঃ) উপর যে তাওরাত নাযিল করেছিলেন। এবং ঈসা (আঃ) উপর ইঞ্জিল নাযিল করেছিলেন তা থাকবে। তিনি তাওরাত ওয়ালাদেরকে (ইহুদীদেরকে) তাওরাত দ্বারা বিচার করবেন। এবং ইঞ্জিল ওয়ালাদের(খ্রিস্টানদেরকে) ইঞ্জিল দিয়ে বিচার করবেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১০২২ ]
** হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "তার (মাহদীর) মাধ্যমেই তাইবেরিয়ার হ্রদ (সিরিয়া ও ঈসরাইলের সীমান্তবর্তী টাইবেরিয়াস লেক) থেকেই এর উদ্ধার কাজ শুরু হবে। ঐ সিন্দুকটি (তাবূত আস সাকীনা) বাইতুল মোকাদ্দাসে আনা হবে এবং তার (মাহদীর) সামনে রাখা হবে। যখন ইহুদীরা তা দেখবে তখন তাদের মধ্যে কতিপয় ব্যাক্তি ব্যতীত সবাই ইমান আনবে "।
(আল ফিতান ওয়াল মালাহিম, পৃষ্ঠা - ৫৭)
** হযরত সুলাইমান ইবনে ঈসা হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমার নিকট এই খবর পৌছেছে যে, মাহদীর হাতে বুহাইরাতুত তাবরিয়্যাহ (সিরিয়া ও ঈসরাইলের সীমান্তবর্তী টাইবেরিয়াস লেক) হতে তাবূত আস সাকীনা (Ark of the Covenant) প্রকাশ পাবে। এমনকি বহন করা হবে (বয়ে আনা হবে)। অতপর বাইতুল মুকাদ্দাসে (জেরুজালেমকে) তার (মাহদীর) সামনে রাখা হবে। যখন ইহুদিরা এটি দেখবে তখন তাদের অল্প সংখ্যাক ব্যতীত সবাই আত্মসমর্পণ করবে (ইসলাম গ্রহণ করবে)। অতপর মাহদী ইন্তেকাল করবেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১০৫০ ]
⚫উল্লেখ তাবূত আস সাকীনা (Ark of the covenant) হল, একটি সিন্দুক যা শাম (সিরিয়া) দেশের সুগন্ধী যুক্ত কাঠ দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছিল। এবং কাঠের উপর স্বর্নের প্রলেপ দেয়া হয়েছিল। এই তাবূত আস সাকীনা (Ark of the Covenant) সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
"আর তাদেরকে (বনি ঈসরাইলকে) তাদের নবী বলল, নিশ্চয়ই তার রাজত্বের নিদর্শন এই যে, তোমাদের নিকট তাবূত (তাবূত আস সাকীনা বা, সিন্ধুক) আসবে। যাতে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য থাকবে প্রশান্তি ও মুসার পরিবার, হারুনের পরিবার যা অবশিষ্ট রেখে গেছে তার অবশিষ্ট অংশ। নিশ্চয়ই তাতে রয়েছে তোমাদের জন্য নিদর্শন, যদি তোমরা মুমিন হও "।
(সূরা বাকারা, আয়াত নং - ২৪৮)
[১] তাফসীরে ইবনে কাসীরে বলা হয়েছে, কাতাদাহ (রহঃ) বলেন যে, তা ছিলো ‘সাকীনা’ বা শান্তি। (মুসনাদ ‘আবদুর রাযযাক ১/৯৮) অন্যরা বলেন যে, তা ছিলো সোনার একটি বড় থালা যাতে নবীগণের (আঃ) অন্তরসমূহ ধৌত করা হতো। এটা মূসা (আঃ) প্রাপ্ত হয়েছিলো। তার মধ্যে তিনি তাওরাতের তক্তা রাখতেন। (তাফসীর তাবারী ৫/৩৩১) একই তাফসীর করেছেন কাতাদাহ (রহঃ) , সুদ্দী (রহঃ) , রাবী‘ ইবনু আনাস (রহঃ) এবং ইকরামাহ (রহঃ) ।
‘আবদুর রায্যাক (রহঃ) বলেছেন যে, তিনি সুফইয়ান সাওরী (রহঃ) -কে ﴿وَبَقِیَّةٌمِّمَّاتَرَكَاٰلُمُوْسٰىوَاٰلُهٰرُوْنَ﴾‘আর মূসা ও হারূনের অনুচরদের (পরিত্যক্ত) মঙ্গল বিশেষ’ এর অর্থ জানতে চাইলে তিনি বলেনঃ কেউ কেউ বলেন যে, এতে ছিলো ‘মান্না’ এর পাত্র, তাওরাতের তক্তা। অন্যরা বলেন যে, তা ছিলো মূসা (আঃ) -এর কিছু কাপড় এবং জুতা। (দেখুন ২০ঃ ১২। তাফসীর তাবারী ৫/৩৩৩)
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে যুরাইয (রহঃ) বলেনঃ ‘ফিরিশতা আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যস্থল দিয়ে ঐ তাবূতকে উঠিয়ে জনগণের সামনে নিয়ে আসেন এবং তালূত বাদশাহর সামনে রেখে দেন। তার নিকট তাবূতকে দেখে লোকদের শামাউন নবী (আঃ) -এর নাবুওয়াত ও তালূতের রাজত্বের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস হয়। (তাফসীর তাবারী ৫/৩৩৫)
[২] তাফসীরে আবু বকর জাকারিয়া তে উল্লেখ করা হয়েছে, বনী ইসরাঈলদের মধ্যে একটি সিন্দুক পূর্ব থেকেই ছিল, তা বংশানুক্রমে চলে আসছিল। তাতে মূসা আলাইহিস সালাম ও অন্যান্য নবীগণের পরিত্যক্ত কিছু বরকতপূর্ণ বস্তুসামগ্রী রক্ষিত ছিল। বনী ইসরাঈলরা যুদ্ধের সময় এ সিন্দুকটিকে সামনে রাখত, আল্লাহ্ তা'আলা তাদেরকে বিজয়ী করতেন। জালুত ইসরাঈল-বংশধরদেরকে পরাজিত করে এ সিন্দুকটি নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ যখন এ সিন্দুক ফিরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা করলেন, তখন অবস্থা দাড়ালো এই যে, কাফেররা যেখানেই সিন্দুকটি রাখে, সেখানেই দেখা দেয় মহামারী ও অন্যান্য বিপদাপদ। এমনিভাবে পাচটি শহর ধ্বংস হয়ে যায়। অবশেষে অতিষ্ঠ হয়ে দুটি গরুর উপর সেটি উঠিয়ে হাকিয়ে দিল। ফেরেশতাগণ গরুগুলোকে তাড়া করে এনে তালুতের দরজায় পৌছে দিলেন। ইসরাঈল-বংশধররা এ নিদর্শন দেখে তালুতের রাজত্বের প্রতি আস্থা স্থাপন করল এবং তালুত জালুতের উপর আক্রমণ পরিচালনা করলেন। [তাফসীরে বাগভী: ১/২৩০, আল-মুহাররারুল ওয়াজীয: ১/৩৩৩]
তাবূত আস সাকীনা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ https://makashfa.wordpress.com/2012/04/21/ark-of-the-covenant-%D8%B7%D8%A7%D8%A8%D9%88%D8%AA-%D8%A1-%D8%B3%DA%A9%DB%8C%D9%86%DB%81/
⚫ইমাম মাহদীর মাহদীর খিলাফতের শেষ সময়ে সিরিয়ার ইদলিব ও লাটাকিয়া প্রদেশের সীমান্তবর্তী তুরস্কের এন্টাকিয়া প্রদেশের পাহাড়ী অঞ্চল বা, ঈসরাইল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী টাইবেরিয়াস লেক থেকে তাবূত আস সাকীনা (Ark of the Covenant) বা, সিন্ধুকটি বের করে আনা হবে। যার মধ্যে তাওরাত ও ইন্জিল শরীফের আসল কপি থাকবে। এছাড়াও এই তাবূত আস সাকীনা বা, সিন্ধুকটি ইহুদীদের কাছে একটা আবেগময় ও পবিত্র বস্তু যা দেখে ঈসরাইলের বেশিরভাগ ইহুদী মুসলমান হয়ে যাবে।
♣️ইহুদী জাতি চুড়ান্ত ভাবে কখন ধ্বংস হবে?
-------------------------------------------------------------------
⚫আমাদের বেশিরভাগ মুসলমানদের মধ্যে একটি ভূল ধারণা হচ্ছে ইমাম মাহদী ও হযরত ইসা (আঃ) একই সময়ে আত্নপ্রকাশ হবে। কিন্তু হাদীস গুলো নিয়ে গবেষণা করলে বুঝা যায়, ইমাম মাহদী ও হযরত ঈসা (আঃ) আলাদা দুটি যুগে আত্নপ্রকাশ করবেন। এছাড়াও জেরুজালেম খিলাফতের রাজধানী হিসেবে কয়েক শত বছর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। মাহদীর মৃত্যুর পর আহলে বাইতের দুইজন, তারপর মুজারী বংশের খলিফাগন, মাখজুমী খলিফা, ইয়েমেনী খলিফাগন, কাহতানী খলিফা, আম্মানী খলিফা, পারস্যের খলিফা ও সর্বশেষ পুনরায় আহলে বাইতের দুই জন খলিফা এবং হযরত ঈসা (আঃ) সবাই বাইতুল মোকাদ্দাস থেকেই খিলাফত পরিচালনা করবেন।বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ https://plus.google.com/101401526729996672060/posts/jmgdwvj21W3
কাজেই হযরত ঈসা (আঃ) এর আকাশ থেকে অবতরণ করার পূর্বে যখন দাজ্জালের আবির্ভাব হবে এবং পুরো পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। তখন ইরানের ইস্ফাহান শহরের ৭০ হাজার ইহুদী দাজ্জালের সাথী হবে। তার পর হযরত ঈসা (আঃ) দাজ্জালকে হত্যা করার পর মুসলিমরা প্রতিটি ইহুদীকে হত্যা করবে। বর্তমানে ইরানের ইস্ফাহান শহরে ২০১৬ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী ২৫ হাজার ইহুদী রয়েছে।
** হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ইস্ফাহানের সত্তর হাজার ইহুদী দাজ্জালের অনুসারী হবে।। তাদের শরীরে (তায়ালিসাহ্) কালো চাদর থাকবে"।
(সহিহ মুসলিম, হাদিস নং -৭২৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন নং -৭১২৫, ইসলামিক সেন্টার নং - ৭১৭৮)
** হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ইহুদীরা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, সেখানে তোমরা বিজয়ী হবে। এমনকি, পাথর পর্যন্ত বলবে হে মুসলিম!! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে। তাকে হত্যা কর।
(সহিহ বুখারী, মুসলিম-৭২২৫, তিরমিজী-২২৩৬)
** হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবেনা, যতক্ষণ পর্যন্ত ইহুদীদের সাথে মুসলিমদের যুদ্ধ না হবে। মুসলিমরা তাদেরকে হত্যা করবে, ফলে তারা গাছ ও পাথরের পিছনে লুকিয়ে থাকবে। তখন গাছ বা, পাথর বলবে হে মুসলিম!! হে আল্লাহর বান্দাহ!! এইতো আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে, আসো!! তাকে হত্যা কর। কিন্তু "গারকাদ" (এক ধরনের ঝাউ গাছ) নামক বৃক্ষ দেখিয়ে দিবে না। কারন এটা হচ্ছে ইহুদীদের সহায়তা কারী গাছ"।
(সহিহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন নং-৭০৭৫, ইসলামিক সেন্টার নং-৭১২৯)
কাজেই মুসলমানদের উদ্বিগ্ন হওয়ার বা, হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। মুসলমানদের প্রভাতের সূর্য খুব শীঘ্রই উদিত হবে, মুসলমানদের রক্ত কখনো বৃথা যাবে না। আমরাই এই বাইতুল মোকাদ্দাস থেকে পুরো পৃথিবীকে শাসন করব। আমরা তৃতীয় বারের মত জেরুজালেম উদ্ধার করবই করব। ইনশাল্লাহ
Social Plugin