⚫ হযরত আবু আব্দুল্লাহ (হযরত জাফর সাদিক রহঃ) তিনি হযরত হোসাইন ইবনে আলী (রাঃ) থেকে বর্ননা করেন, তিনি বলেন, "যখন কুফা (মসূল) শহরের মসজিদের দেয়াল ধ্বংস হবে। তারপর মানুষেরা তাদের ধন সম্পদ হারাবে, অধিকারী (মাহদী) এর উত্থান হবে। তখন মাহদী বের হবে"।

(আল মুত্তাকী আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামত আল মাহদী ফি আখিরুজ্জামান, পৃষ্ঠা - ২৭)

⚫ মুহাম্মদ ইবনে সিনান তিনি হোসাইন ইবনে আল মুখতার তিনি হযরত জাফর সাদিক (রহঃ) থেকে বর্ননা করেন, তিনি বলেন, "যখন কুফা (মসূল) শহরের মসজিদের দেয়াল এবং তার পার্শ্ববর্তী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ এর বাড়ি ধ্বংস হবে। ঐই সময়ে নেতৃত্ব দেয়ার ব্যাক্তির উত্থান হবে এবং তিনি বের হবেন"।

⚫"আমি তাকে বললাম, কখন তিনি (ইমাম মাহদী) আবির্ভূত হবেন? উত্তরে তিনি বললেন, যখন তুমি ইরাকের আনবার, ফোরাত নদীর উপকূল, দাজলা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকা, সিরাজ নামক শহর থেকে সৈন্য বাহিনীকে আসতে দেখবে। এবং কুফা (মসূল) শহরের (আন নুর মসজিদের) মিনার ধ্বংস হতে দেখবে, এবং কুফা (মসূল) শহরের কিছু বাড়ি ঘর আগুনে জ্বলতে দেখবে। তখনই আল্লাহ তায়ালা তার ইচ্ছা অনুযায়ী (বিশেষ) কিছু ঘটাবেন। অর্থাৎ তখনই সত্যিকার অর্থে ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে"। কেউ আল্লাহর নির্দেশকে আটকাতে পারবে না, কেউ আল্লাহর বিচারের উপর হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

(ফালাইস সায়েল, পৃষ্ঠা - ১৯৯, আল মিসবাহ, পৃষ্ঠা - ৫১, আল বালাদুল আমিন, পৃষ্ঠা - ৩৫)

হাদিসে বর্ণিত কুফা নগরী কোনটি?
________________________________

মূলত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও সাহাবীদের যুগে ইরাক ও কুয়েত নামে কোন ভূখণ্ড ছিল না, ঐ সময়ে বর্তমান ইরাক ও কুয়েতকে বসরা ও কুফা নামে ডাকা হত। অর্থাৎ যদি কুফা ও বসরা উল্লেখ করে কোন হাদিস বর্ননা করা হত, তখন বুঝা যেত এটা বৃহত্তর ইরাক ও কুয়েত কেই বুঝানো হয়েছে? আর বাগদাদ শহরকে ডাকা হত 'জাওরা' নামে। চলুন হাদিস থেকেই জানি, ইরাকের কুফা নগরী বলতে বর্তমান কুফা নগরীকে বুঝানো হয়েছে? নাকি অন্য কোন শহরকে বুঝানো হয়েছে?

** হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্নিত, রাসূল (সাঃ)  বলেছেন, যখন সুফিয়ানী ফোরাত নদী পার হবে এবং এমন এক জায়গায় পৌছবে যার নাম হবে আকের কুফা (ইরাক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা)। আল্লাহ তা’আলা তার অন্তর থেকে ঈমানকে মুছে দিবেন। আর সেখানে একটি নদীর দিকে যে নদীর নাম হবে দাজীল (দাজলা নদী/Tigress River) । উক্ত নদীর নির্জন প্রান্তরে ৭০ হাজার তরবারীধারী(যোদ্ধা) লোককে সে হত্যা করবে। তখন তাদের ব্যতীত তাদের থেকে বেশী লোক থাকবে না। অতপর স্বর্ণের ঘরের (পাহাড়) প্রকাশ পাবে এবং তারা যুদ্ধ করবে ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে।

অতপর তারা (সুফিয়ানী বাহিনী) মহিলাদের পেট চিড়বে  বলবে হয়তো সে কোন গোলাম ( Islamic state) কর্তৃক গর্ভবতী হয়েছে। আর দাজলার পাড়ে র্মারা (Samarra/সামাররা শহর) এর দিকে মহিলাগণ কুরাইশদের (সুফিয়ানীকে সমর্থন কারী দের) নিকট সাহায্য কামনা করবে। সুফুনের (মসূল ও কিরকুক শহরের মধ্যবর্তী জায়গা) অধিবাসীদেরকে তারা ডাকবে যাতে তাদেরকে (ধ্বংসস্তুপ থেকে) উঠিয়ে নেয় এবং যাতে তারা তাদেরকে মানুষের সাথে সাক্ষাত করাতে পারে।তখন তারা (শিয়া সম্প্রদায়ের মহিলাগন) বনু হাশেমের (Islamic state) উপর শত্রুতার কারণে তাদেরকে উঠাবে না। আর তোমরা বনু হাশেমের সাথে শত্রুতা পোষণ করিও না, কেননা তাদের (বংশ) থেকেই রহমতের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এবং তাদের থেকে জান্নাতে পাখি হবে (হযরত জাফর ইবনে আবু তালেব রাঃ জন্মগ্রহণ করেছিলেন)

হে মহিলাগন! তখন কি অবস্থা হবে যখন জাহান্নামের অন্ধকার গর্তসমূহে (যখন) তোমাদেরকে নিক্ষেপ করবে যে গর্তগুলো থাকবে ফাসেকদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। অতপর তাদের নিকট সাহায্য (খোরাসানের বাহিনী) আসবে। এমনকি তারা (খোরাসানের বাহিনী) সুফিয়ানীর সাথে যে সমস্ত মহিলা ও সন্তান সন্ততি (সুফিয়ানী বাহিনীর নিকট) আটক থাকবে তাদেরকে (খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল) বাগদাদ ও কুফা (মসূল) থেকে উদ্ধার করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৮৫ ]


⚫এই হাদিসটিতে হাদীসে বর্নিত কুফা নগরীর ৫ টি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে সুফিয়ানী গনহত্যা চালাবে।

١) শহরটি হবে দাজলা বা, Tigress নদীর তীরে। মসূল শহর কিন্তু দাজলা নদীর তীরে অবস্থিত সবচেয়ে বড় শহর। অথচ, ইরাকের বর্তমান কুফা নগরী হল ফোরাত নদীর তীরে।

٢) বর্তমানে সিরিয়াতে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন যেভাবে বাশার আল আসাদ বাহিনীকে সমর্থন করছে, ঠিক সুফিয়ানীর উত্থানের পরেও শিয়ারা বানু কাল্ব গোত্রের কুরাইশী শাসক সুফিয়ানীকে সমর্থন করবে। আর ইসলামিক ইস্টেট এর সাথে শিয়াদের জন্ম থেকেই একটা শত্রুতা রয়েছে। যার কারণে একে অপরকে হত্যা করেই চলছে। এটা পরবর্তীতে ও অব্যাহত থাকবে।

٣) সুফিয়ানী গনহত্যা সংগঠিত করার পর, সেখানে ধ্বংসস্তুপে আটকা পরা মহিলারা পার্শ্ববর্তী সুফূনের (মসূল ও কিরকুক শহরের মধ্যবর্তী জায়গা) লোকদেরকে উদ্ধার করার জন্য ডাকবে। সুফূন থেকে বর্তমান কুফা নগরীর প্রায় ৪০০ কিঃমিঃ। আর সুফূন থেকে মসূল শহরের দূরত্ব ১০০ কিঃমিঃ এর মত। তাই ৪০০ কিঃমিঃ দূরের লোকদেরকে উদ্ধারের জন্য ডাকবে এটা যৌক্তিক নয়।

٤) দাজলা নদীর প্রান্তে ধ্বংসস্তুপে আটকা পড়ে থাকা মহিলাগন মার্রা (সামররা শহরের) কুরাইশদের নিকট সাহায্য চাইবে। কিন্তু তারা শত্রুতা বশতঃ উদ্ধার করবে না। অর্থাৎ সুফিয়ানী কিন্তু কুরাইশ বংশের উমাইয়া গোত্রের লোক হবেন, যারা তাকে সমর্থন করবে তারা (শিয়ারা) তাদেরকে শত্রুতা বশতঃ উদ্ধার করবে না। কারন বনু হাশেম (Islamic state) এর প্রধান আবু বকর আল বাগদাদী বনু হাশেম গোত্রের লোক, তাই বনু হাশেম বলতে ইসলামিক ইস্টেট কে বুঝানো হয়েছে। বর্তমানে সামাররা শহরে ৬০% - ৬৫% হচ্ছে শিয়া, আর সুন্নি মুসলিম হচ্ছে ৩২% - ৩৫% এর মত।  তবে সামররা শহরটি মসূল ও কুফা নগরীর মধ্যখানে অবস্থিত।

٥) সুফূনের অধিবাসীরা কালো পতাকাবাহী (Islamic state) এর ধ্বংসস্তুপে আটকা পরা মহিলাদের শত্রুতা বশতঃ উদ্ধার করবে না। সুফূন একটি গ্রামের নাম এর নিকটবর্তী বড় শহর হল কিরকুক। যার ৬০% মানুষ হল শিয়া মুসলিম। আর শিয়াদের সাথে Islamic state এর সাথে জন্ম থেকেই দা-কুমড়া সম্পর্ক।
⚫তাই হাদীসে বর্নিত কুফা নগরী বলতে মসূল শহরকেই বুঝানো হয়েছে, একথা প্রমানিত।


ঐতিহাসিক বিখ্যাত আন নুর মসজিদ এর বর্ননাঃ
____________________________________________

ইরাকের মসূল শহরের ঐতিহাসিক বিখ্যাত আন নুর মসজিদ এর নাম হল জামেয়া আন নুর মসজিদ। ৮৫২ বছরের পুরনো এই মসজিদটি১১৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এটি প্রতিষ্ঠা করেন ইতিহাস বিখ্যাত ক্রুসেড বিরোধী যুদ্ধের নেতৃত্ব দান কারী নুর উদ্দীন জঙ্গি (রহঃ)। তার পুরো নাম ছিল নুর উদ্দীন আবুল কাশেম মুহাম্মদ ইবনে ইমাম উদ্দীন জঙ্গি। এই নির্মাণ করার সময় তিনি তৎকালীন দামেস্কের (বর্তমান সিরিয়া ও ইরাকের উত্তরাঞ্চলের গভর্নর ছিলেন। তিনি মৃত্যুর ২ বছর পূর্বে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। তবে এই মসজিদটির অন্যতম সৌন্দর্য হল ৪৫ মিটার (১৪৮ ফুট) লম্বা একটি মিনার ছিল। আর এই মিনারটির নাম ছিল আল হাদবা মিনার। আন নুর মসজিদের কয়েকটি ঐতিহাসিক ছবি দেখুন। লিংকঃ https://youtu.be/S-I5WofXiHQ


আন নুর মসজিদ এর গুরুত্বঃ
___________________________

ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসূল শহরের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন মসজিদ হল আন নুর মসজিদ। ইসলামিক ইস্টেট মসূল দখল করার পর ২০১৪ সালের জুন মাসে (পবিত্র রমজান মাসে) খিলাফত ঘোষণা করে এবং শুক্রবার ইসলামিক ইস্টেট এর প্রধান খলিফা আবু বকর আল বাগদাদী প্রকাশ্যে এসে ভাষন দেন। আর এটাই তার একমাত্র প্রকাশ্য ভাষন। তাই সাড়া বিশ্বে ইসলামিক ইস্টেট এর অনুসারী দের নিকট এই মসজিদের একটা গুরুত্ব রয়েছে। এছাড়াও ঐতিহাসিকদের ও গবেষকদের নিকটেও এই মসজিদটির গুরুত্ব রয়েছে।


মসূল শহরের যুদ্ধের ভয়ংকর পরিস্থিতিঃ
____________________________________

ইসলামিক ইস্টেট থেকে মসূল শহর পুনরুদ্ধার করার জন্য আমরিকান নেতৃত্বাধীন জোট ও ইরাকী সেনা বাহিনী ১,২৫,০০০ এর বিশাল সৈন্য বাহিনী ২০১৬ - ১৭ সালে ৯ মাস ধরে যুদ্ধ করে। কিন্তু পশ্চিম মসূল শহরের যুদ্ধ যখন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছিল। ঐ সময়ে আমরিকার নেতৃত্বাধীন বিমান বাহিনী ও ইরাকী বিমান বাহিনী মসূল শহরে ২০০০০ বারের বেশি বিমান হামলা চালিয়েছিল। তখন পশ্চিম মসূলের বেশিরভাগ বাড়ি ঘর ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়।

এমনকি সেখান থেকে শিয়াদের দ্বারা এখনও সুন্নি মুসলিমদের মৃত কঙ্কাল উদ্ধার করছে মানবাধিকার সংগঠন গুলো। কিছু দিন আগে ১০ দিনে তারা ১৪০০ মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল। সর্বমোট  মসূল যুদ্ধে ৪০,০০০ লোক নিকট নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে শিয়া মিলিশিয়া ও আমরিকান নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন। লিংকঃhttps://www.independent.ie/world-news/spotlight/the-massacre-of-mosul-40000-civilians-feared-dead-in-battle-to-liberate-city-from-isis-35949240.html

তার পরেও তথাকথিত মানবতাবাদী দের মুখ থেকে
একটি কথাও বের হয়নি। বরং প্যারিস ও নিউ ইয়র্কে হামলা হলে, কয়েকজন কাফেরদের জন্য পৃথিবীর সকল মিডিয়া ও মানবাধিকার সংগঠন গুলো যেন চোখের পানি আর নাকের পানি এক করে ফেলে। মনে হয়, ইরাকের সুন্নি মুসলিমরা মানুষ নয়, তাদের জন্য পৃথিবীতে আহ্ শব্দটি বলার মতোও কেউ নেই, ৪০,০০০ লাশ যেন কিছুই নয়।  "حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ (একমাত্র আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট) (সূরা আল ইমরান, আয়াত নং - ১৭৩)


সত্যিকার অর্থে কে আন নুর মসজিদ ধ্বংস করেছিল?
_____________________________________________

মসূল যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে ২১ জুন ২০১৭ সালে  ঐতিহাসিক বিখ্যাত আন নুর মসজিদটি একদম মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছিল, এমনকি সুদর্শন মিনারটিও ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কারা ধ্বংস করল এই মসজিদটি? আমরিকা ও ইরাকী প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদী বলেছেন, এটি ইসলামিক ইস্টেট ধ্বংস করেছে। এমনকি পৃথিবীর সব মিডিয়া BBC, CNN, The New York times, The Washington post, TRT, Al Zajiraa সবাই একযোগে বলেছে, এটি ইসলামিক ইস্টেট ধ্বংস করেছে। অপরদিকে ইসলামিক ইস্টেট বলছে, এটি আমরিকার বিমান হামলায় ধ্বংস হয়েছে।

⚫তাই আমাদের উচিত নিরপেক্ষ অনুসন্ধান করে দেখা, আসলে কে আন নুর মসজিদটি ধ্বংস করেছে?

১, বিশ্বের সকল মিডিয়া ও আমরিকা এবং ইরাকী সৈন্য বাহিনী বলেছে, এই মসজিদটি ইসলামিক ইস্টেট মাইন বিস্ফোরন ঘটিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। সাধারণতঃ মাইন বিস্ফোরন হলে একটি ভবনের নিচের অবকাঠামো সম্পুর্ন ধ্বংস হয়ে যায়, আর ভবনের ছাদ নিচে নেমে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি, আল হাদবা মিনারের নিচের অংশ অক্ষত রয়েছে, আর উপরের অংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই এটি যে আমরিকার বিমান হামলায় ধ্বংস হয়েছিল, এটাই সত্য। ছবিতে দেখুনঃ

২, আন নুর মসজিদ আমরিকা বিমান হামলায় ধ্বংস হয়েছে, কারণ যুদ্ধের সময় ইসলামিক ইস্টেট মিনারটিতে তাদের পতাকা উত্তোলন করেছিল, তাই হয়তো আকাশ থেকে বিমান বাহিনী এটিকে টার্গেট করেছিল। ছবিতে দেখুনঃ

৩, সাধারণত ইসলামিক ইস্টেট মাজার ও শিয়া মসজিদকে টার্গেট করে বোমা হামলা চালায়, কারন তারা মাজার পুজারী ও শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনকে মুসলিম মনে করে না। কিন্তু আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কোথাও সুন্নি মসজিদে তারা হামলা চালায় নাই। হয়তো আমরিকা এই সুযোগটি নিতে চেয়েছিল। লিংকঃhttps://www.alaraby.co.uk/english/comment/2017/6/22/mosuls-destroyed-grand-nuri-mosque-perfect-for-is-propaganda

কুফা (মসূল) শহরে ভবিষ্যতে কি কি ঘটবে?
________________________________________

১, খুব শীঘ্রই ইসলামিক ইস্টেট মসূল শহর পুনরায় দখল করবে।

২, মনসুর ইয়েমেনীর উত্থানের পর তিনি ইয়েমেন থেকে এই মসূল শহরে আসবেন।

৩, সুফিয়ানী এই মসূল শহরে ৭০ হাজার ইসলামিক ইস্টেট এর যোদ্ধাদের হত্যা করবে।

৪, সম্পুর্ণ মসূল শহরকে সুফিয়ানী বাহিনী মাটির সাথে মিশিয়ে দিবে।

৫, খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল এই মসূল শহরে সুফিয়ানীর হাতে আটক সকল মহিলা ও শিশুদের উদ্ধার করবে।

৬, আবির্ভাবের পূর্বে ইমাম মাহদী সাময়িক সময়ের জন্য এই মসূল শহরে অবস্থান করবেন।

৭, সুফিয়ানী বাহিনীর কাছে পরাজিত হওয়ার পর ইমাম মাহদী ও মনসুর মসূল শহর থেকে পালিয়ে মক্কা চলে যাবেন।

৮, ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পর এই মসূল শহরের সম্মানিত লোকজন, যাদেরকে আসহাব বলা হয়েছে, তারা ইমাম মাহদীকে বাইয়াত দিবে।

(ইনশাল্লাহ)

তাই যারা আখিরুজ্জামান নিয়ে পড়াশোনা করেন, তাদেরকে অবশ্যই কুফা নগরী সম্পর্কিত সকল হাদিসগুলো সতর্কতার সাথে মসূল শহরের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে। অন্যথায় আমাদের চোখের সামনেই সকল কিছু ঘটে গেলেও আমরা হাদীসের ভবিষ্যৎবাণী সত্বেও পরিস্থিতি সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করতে পারব না।